Description
নেট্রাম মিউরিয়েটিকাম
রোগ নির্দেশনা (Indication)
- মাথা ব্যথা (Headache)
- এলাজিজনিত হাঁচি, ঠান্ডা (Allergic Rhinitis, Cold)
- চুল পড়া (Hair Fall)
- কোষ্ঠকাঠিন্য (Constipation)
- শ্বেতপ্রদর (Leucorrhoea)
- নাসারন্ধে শুভতা (Dry Nose)
- হাঁপানি (Asthma)
- যোনীপথের শুদ্ধতা (Vaginal Dryness)
- মূত্রবেগ ধারণে অক্ষমতা (Enuresis) ইত্যাদি।
সেবনমাত্রা ও সেবনবিধি (Dosage and Administration) প্রাপ্ত বয়স্কঃ ৪-৬ টি করে ট্যাবলেট দিনে ৩-৪ বার,
অপ্রাপ্ত বয়স্কা ২-৩ টি করে ট্যাবলেট দিনে ৩-৪ বার অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেব্য।
জিনাস্থন (Center of Action)
ইহ্য রক্ত, পরিপাকতন্ত্রের শ্লৈষ্মিক ঝিল্লী এবং যকৃত ও প্লীহার উপর ক্রিয়া প্রকাশ করে। এই ঔষধের ক্রিয়ার ফলে চর্মে নানা প্রকার উদ্ভেদ ও ক্ষত এবং বিষম জ্বরের লক্ষনাদি উৎপন্ন হয়। শরীরের রস, রক্ত ইত্যাদি তেজস্কর কোন পর্দাথের ক্ষয় হয়েই হোক কিংবা মানসিক বৈকল্য কারণে হোক কোন ব্যক্তি বক্তহীন হয়ে পড়লে নেট্রাম মিউর সেই ক্ষেত্রে উত্তম ক্রিয়া প্রকাশ করে থাকে।
সাধারণ ক্রিয়া (General Action)
নেট্রাম মিউর নামত এই লাবণিক পদার্থ মানব পতীতের প্রত্যেক জলীয় এবং কঠিন
অংশ উভয়ের প্রধান উপাদান। ইহার প্রধান কাজই হইতেছে কোষসমূহের মধ্যে আবশ্যকমত জলীয় পদখি সরবরাহ করা। ইহা শরীরের অর্দ্রেতা রক্ষা করে। ইহা খাদ্য ও পানীয় সমস্ত দ্রব্য হতে জলীয় পদার্থ শোষণ করে কোষ সমূহে পৌঁছে দেয়। মানব দেহে প্রায় ৭০ ভাগ জলীয় পদার্থ আছে কিন্তু উহা সোডিয়াম ক্লোরাইও ছাড়া কার্যকরী হয় না। মানব দেহে যদি এই লাবণিক পদখি ঠিক মত থাকে তাহলে আবশ্যকমত জলীয় পদাখ সর্বশরীরে পরিচালিত হয়। ইহা পরীর হতে অনিষ্টকারী পদার্থসমূহকে বের করে দেয়। ফোস্কায় পানি জমলে, দেহের কোন স্থান দিয়ে পানির ন্যায় প্রাব হলে, যে কোন পীড়ায় যদি দেহে পানি জমে, চোখ দিয়ে পানি পড়ে, মুখ দিয়ে লালাস্রাব হয় এবং অত্যন্ত তৃষ্ণা থাকলে ইহা উপযোগী।
গুরুত্বপূর্ন লক্ষণ (Important Symptoms)
১) প্রচন্ড শিরঃপীড়া যেন কেহ মাথায় হাতুড়ি দিয়ে মারিতেছে, বাম পার্শ্বগত শিরঃবেদনা, উহা সূর্যোদয় হতে সূর্যাস্ত পর্যন্ত বৃদ্ধি। ২) উত্তম ক্ষুধা কিন্তু খাইতে অনিচ্ছা। ৩) গ্রীষ্মকালীন উদারাময়ে ভুগিয়া শিশুদের ঘাড় ও গলা শীর্ণ হয়ে আসে। ৪) জিহ্বায় যেন চুল জড়িয়ে আছে এইরুপ অনুভব। ৫) তিক্ত দ্রব্য, লবণ কিংবা লবণাক্ত দ্রব্য আহারে অত্যন্ত ইচ্ছা, রুটিতে বিতৃষ্ণা। ৬) কোষ্ঠবদ্ধতা, বোষ হয় যেন মলদ্বার সংকুচিত, মল শুদ্ধ, শক্ত অতিকষ্টে বাহির হয়, রক্ত পড়ে। ৭) রুটি, অম্ল, অতিরিক্ত লবণ আহার, কুইনাইন সেবন, কষ্টিক দ্বারা পোড়ানো, বহুদিনের শোক, তাপ, ক্রোধ ইত্যাদি কারণজনিত পীড়া।
বৃদ্ধিঃ সান্তনা ও সহানুভূতি প্রর্দশনে, মানসিক পরিশ্রমে, সর্বপ্রকার গরমে, সূর্য্যতাপে, সমুদ্র তীরে, ঋতুস্রাবের পর, বেলা ১০ টা থেকে ১১ টার মধ্যে। উপশমঃ নির্মল বায়ুতে, ডান পার্শ্বে শয়নে, শীতল জল পানে ও স্নানে, দীর্ঘনিঃশ্বাস ত্যাগে, অন্ধকারে, বিশ্রামে, অভুক্ত অবস্থায়, শিরোবেদনা-শয়নে।
Reviews
There are no reviews yet.